নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : আলু,পেঁয়াজে ভালো দাম পেয়েছে এবার হুগলির চাষীরা।রবি মরসুমে ধানেও ভালো দাম মিলেছে,খারিফ চাষ ভালো হয়েছে।সব্জি চাষেও ক্ষতি হয়নি।এবার আমের মরসুম শুরুর মুখে আশঙ্কা কাটিয়ে আশাবাদী জেলার আম চাষীরা।কবি বলেছেন আম পাকে বৈশাখ,কুল পাকে ফাগুনে,কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে আগুনে।বৈশাখ মাস শেষ আম পাকতে শুরু করেছে।তবে এই সময়টা কাঁচা আম বিক্রি করেও ভালো পয়সা পায় চাষীরা।মূলত আঁচারের জন্য জাতের আম নয় এমন আম এবং আঁটির আম কাঁচা পেড়ে বেঁচে দেওয়াতেই লাভ বেশি।পাকা বৈশাখী আম বাজারে বিক্রি হচ্ছে।এরপর জৈষ্ঠ আষাঢ়ে সোরি,হিমসাগর,ল্যাঙরা তার কিছুদিন পরে আম্প্রপালি মল্লিকা বাজারে ছেয়ে যাবে।হুগলি জেলার সুস্বাদু আম শহর কলকাতা ছাড়াও ভিন রাজ্যে বিক্রি হয়।করোনার প্রভাবে সেই বাজার ধরা যাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় চাষীরা।সামাজিক দূরত্ব না মানায় জেলার বেশ কয়েকটি বাজার বন্ধ করা হয়েছে।তৃতীয় দফার শেষে চতুর্থ দফায় লকডাউন চলছে ।তবে মানুষের জীবন জীবিকায় টান পড়ায় লকডাউনেও কিছু শিথিলতা আসছে।বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা না আসতে পারলে আমের দাম পাওয়া যাবে না মনে করছেন চাষীরা।তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে আম বিক্রি বা বাইরে রপ্তানীতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।বড় পাইকারী বাজার গুলোতে দূরত্ব মেনে যাতে আম কেনাবেচা চলতে পারে সেই ব্যবস্থা করবে প্রশাসন,জানান হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী।