আমের বাজারের দিকে তাকিয়ে আশায় দিন গুনছে হুগলীর আম চাষীরা

24th May 2020 হুগলী
আমের বাজারের দিকে তাকিয়ে আশায় দিন গুনছে হুগলীর আম চাষীরা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : আলু,পেঁয়াজে ভালো দাম পেয়েছে এবার হুগলির চাষীরা।রবি মরসুমে ধানেও ভালো দাম মিলেছে,খারিফ চাষ ভালো হয়েছে।সব্জি চাষেও ক্ষতি হয়নি।এবার আমের মরসুম শুরুর মুখে আশঙ্কা কাটিয়ে আশাবাদী জেলার আম চাষীরা।কবি বলেছেন আম পাকে বৈশাখ,কুল পাকে ফাগুনে,কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে আগুনে।বৈশাখ মাস শেষ আম পাকতে শুরু করেছে।তবে এই সময়টা কাঁচা আম বিক্রি করেও ভালো পয়সা পায় চাষীরা।মূলত আঁচারের জন্য জাতের আম নয় এমন আম এবং আঁটির আম কাঁচা পেড়ে বেঁচে দেওয়াতেই লাভ বেশি।পাকা বৈশাখী আম বাজারে বিক্রি হচ্ছে।এরপর জৈষ্ঠ আষাঢ়ে সোরি,হিমসাগর,ল্যাঙরা তার কিছুদিন পরে আম্প্রপালি মল্লিকা বাজারে ছেয়ে যাবে।হুগলি জেলার সুস্বাদু আম শহর কলকাতা ছাড়াও ভিন রাজ্যে বিক্রি হয়।করোনার প্রভাবে সেই বাজার ধরা যাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় চাষীরা।সামাজিক দূরত্ব না মানায় জেলার বেশ কয়েকটি বাজার বন্ধ করা হয়েছে।তৃতীয় দফার শেষে চতুর্থ দফায় লকডাউন চলছে ।তবে মানুষের জীবন জীবিকায় টান পড়ায় লকডাউনেও কিছু শিথিলতা আসছে।বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা না আসতে পারলে আমের দাম পাওয়া যাবে না মনে করছেন চাষীরা।তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে আম বিক্রি বা বাইরে রপ্তানীতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।বড় পাইকারী বাজার গুলোতে দূরত্ব মেনে যাতে আম কেনাবেচা চলতে পারে সেই ব্যবস্থা করবে প্রশাসন,জানান হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।